বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে আইসিডিডিআর’বির পক্ষ থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আজ রোববার তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একটি সূত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাও।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, কয়েক দিন ধরে খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন। তাই তিনি করোনা সংক্রমিত কিনা জানতে শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ঢাকার অন্যতম একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ধানমন্ডির ওই বেসরকারি হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে একজন টেকনোলজিস্ট খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান।
এর আগে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন খালেদার জিয়ার পরিবার ও তার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। রক্তের নমুনা নেওয়ার সময় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ডা. মামুনও সেখানে ছিলেন। করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি তার ডায়াবেটিস টেস্টের জন্যও নমুনা নেওয়া হয়। গোপনীয়তার সঙ্গে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দর বলেন, ‘নো কমেন্ট’। আর বোন সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমি তো বেশ কয়েকদিন ধরে যাইনি। শরীরটা ভালো না। এ সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারবো না।’ এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে তার মুক্তি হয় ছয় মাসের। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়।