অনলাইনে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা তা সহজেই বুঝতে পারবেন ‘হ্যাভ আই বিন পনড’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এই ওয়েবসাইটে যে কোন ই-মেইল অ্যাড্রেস আর পাসওয়ার্ড দেওয়া হলে, তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলে দেয়, কোনো সময় কেউ সেই গোপন পাসওয়ার্ড জেনে ফেলে তা দিয়ে সেই ই-মেইল অ্যাড্রেস খুলেছিল কি না।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ৫৪ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়। তবে ফেসবুক বলছে, দেড় বছর আগেই তারা এ সমস্যার সমাধান করেছে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) অনলাইনে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেয় হ্যাকাররা। এতে সহজেই অনলাইন বিজ্ঞাপনে ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
রোববার (৪ এপ্রিল) টুইটারে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের চিফ টেকনোলজি অফিসার অ্যালোন গ্যাল জানান, ১০৬টি দেশের ৫৩ কোটি ৩০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোটি, যুক্তরাজ্যের ১ কোটি ১০ লাখ ও অস্ট্রেলিয়ার ৭০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে।
পড়ুন: ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৫৪ কোটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ
‘হ্যাভ আই বিন পনড’ ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ট্রয় হান্ট এক ব্লগপোস্টে বলেন, অনলাইনে সব ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়নি। তবে ৫ কোটি ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ফাঁস হয়েছে এবং অল্পসংখ্যক ব্যবহারকারীর ‘ই-মেইলের তথ্যও ফাঁস হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘হ্যাভ আই পনড ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চাই। তাদের কাছে স্বচ্ছতা রাখতে চাই।’
সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ড্যাভ ওয়াকার টুইটারে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) মার্ক জুকারবার্গের তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন। এ সময় ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতার ফাঁস হওয়া ফোন নম্বরটির ছবি প্রকাশ করেন। ওই ছবিতে দেখা যায়, মার্ক জুকারবার্গ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম সিগন্যাল ব্যবহার করছেন। যা ফেসবুকের মালিকানাধীন নয়। তবে এ বিষয়ে ফেসবুক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।