স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মাঝে অন্তত তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। মঙ্গলবার ভারতের সরকারি সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি মাসে ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধানরা। আগামী ১৭ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এর আগে কোনও সম্মেলন ছাড়া পাঁচ দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানরা মাত্র ১০ দিনের সময়কালে কখনও ঢাকা সফর করেননি।
তিনি বলেন, এটি খুবই অস্বাভাবিক একটি সময় (করোনাভাইরাস মহামারির কারণে)। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানরা জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরের প্রথম দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন তিনি।
ওইদিন বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন মোদি। সফরের দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন।
পরে একই দিনে ঢাকার বাইরে সাতক্ষীরা এবং গোপালগঞ্জে দুটি মন্দির পরিদর্শন করবেন তিনি। ২৭ মার্চ বিকেলে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরে দুই দেশের মাঝে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে এসব চুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, দুই দেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা সমঝোতা স্মারকের ব্যাপারে এখনও কাজ করছি। আগামী দুই একদিনের মধ্যে আমরা সমঝোতা স্মারকের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করতে পারব।
বিদেশি যে অতিথিরা বাংলাদেশে আসবেন তাদের মধ্যে সবার আগে পৌঁছাবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম মোহাম্মদ সোলিহ। তিন দিনের সফরে ১৭ মার্চ ঢাকা আসবেন তিনি। এর একদিন পর ১৯ মার্চ দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি দু’দিনের সফরে ঢাকা আসবেন ২২ মার্চ। অন্যদিকে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ ও ২৫ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। পরদিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৭ মার্চ রাতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন তিনি।