রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় (২৭ জুন) অন্তত ৬৬ জন আহত ও দগ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের কেউই এখনও আশঙ্কামুক্ত নন।
সোমবার (২৮ জুন) সকালে ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা যায়, মোট ৬৬ জনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়ার গেছে। এর বাইরে অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সূত্রে জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন মোট ১৭ জন। তারা শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত ৩৯ জন, মগবাজারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে দুই জন, আদ-দ্বীন হাসপাতালে তিন জন, মনোয়ারা হাসপাতালে পাঁচ জন ভর্তি আছেন। আহতদের শরীরে কাটাছেঁড়া রয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের সুস্থ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, বার্নে আসা ১৭ জনের মধ্যে দগ্ধ তিন জনের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। বাকি ১৪ জনের কারও পা কাটা গেছে, কারও পা ভেঙে গেছে।
রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় মগবাজার এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় সোমবার (২৮ জুন) সকাল পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন ঢামেকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক (ঢাকা) দিনমনি শর্মা, সহকারী পরিচালক (ঢাকা) ছালেহ উদ্দিন আহমেদ, উপ-সহকারী পরিচালক (ঢাকা জোন-১) মো. বজলুল রশিদ ও পরিদর্শক (ওয়্যার হাউজ) দেবব্রত মন্ডল।
আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।