দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কা স্বাগতিক দল হলেও শক্তিমত্তার বিচারে পিছিয়ে ছিল না বাংলাদেশ দল। তবে মাঠের লড়াই দিল ভিন্ন। শ্রীলঙ্কার তরুণ দুই স্পিনারের কাছে দিশেহারা অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল। অভিষিক্ত প্রভিন জয়াবিক্রমা একাই নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০৯ রানে দ্বিতীয় টেস্ট হেরে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ দল।
পড়ুন: ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হারের পর কাঠগড়ায় সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স। তবে সিরিজ হারলেও অতৃপ্ত নন মুমিনুল। ম্যাচ শেষে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এসে মুমিনুল জানালেন, এই সফর থেকে অনেক ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
মুমিনুল বলেন, ‘অবশ্যই প্রাপ্তির কিছু না কিছু আছে। আমরা সিরিজ হেরেছি এর মানে এই না যে সব কিছু হেরে গিয়েছি। হয়তো একটু সমালোচনা হবে, অনেকেই অনেক কথা বলবে। এর ভেতরেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে আমার কাছে মনে হয়।’
শুরুতেই দলীয় প্রচেষ্টাকে সামনে আনলেন মুমিনুল, ‘প্রথম টেস্টে আমি যেটা সব সময় চাচ্ছিলাম যে দলগতভাবে খেলব, যেটা আমরা শেষ ২-১টি টেস্ট ম্যাচে খেলতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয় প্রথম টেস্টে আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। আমরা তখনই ভালো খেলি যখন আমরা দলগতভাবে খেলতে পারি।’
দল হিসেবে ভালো করতে গেলে নিজ নিজ জায়গা থেকে পারফর্ম করতে হবে খেলোয়াড়দের। সেদিক থেকে সিরিজ হারলেও অধিনায়কের পাশ মার্ক পাচ্ছেন তামিম ইকবাল, তাইজুল ইসলামরা। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক না হওয়া এবং উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেও অধিনায়কের বাহবা পাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস।
মুমিনুল জানান, ‘তামিম ভাইয়ের দুটি ৯০ আছে, একটি ৭০ আছে। শান্তর একটি ১৬৩ আছে, মুশফিক ভাই ও লিটনের হাফ সেঞ্চুরি আছে। তাইজুলের ৫ উইকেট আছে। আমার কাছে মনে হয় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনারাও হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন এটার কোন পেসার কি কিছু করতে পারছে কিনা, সেই হিসেবে তাসকিনকে দেখেছেন। অনেক উন্নতি করেছে। আমার কাছে মনে হয় অনেক ইতিবাচক দিক আছে এই টেস্ট সিরিজে।’