চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় না আনতে পারায় আগামী ২৩ মে খুলছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিশ্চিত না হওয়ায় ১৭ মে খুলবে না হলগুলোও।
বৃহস্পতিবার বিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করেই হল খুলতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজ শনিবার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১৭ মে আবাসিক হল খোলা সম্ভব নয়। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি না কমলে এবং শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় না আনা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলা হবে না। শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করেই হল খুলতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ২০ মার্চ হলগুলো খালি করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ আছে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে। এর মধ্যে অনলাইনে ক্লাস ও দুটি সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা হলেও আটকে আছে সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা।
এদিকে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৪ মে থেকে। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।
তবে হল খোলার পূর্বঘোষিত সময় ঘনিয়ে আসা স্বত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করতে না পারা এবং সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২৪ মার্চ শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ৩১ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে নিবন্ধন করতে বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে ২৬ হাজার শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে।