কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে রবিবার ভোরের ফাইনালে নেইমারদের ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। ম্যাচে আর্জেন্টিনার পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
ম্যাচের ২২তম মিনিটে ডি পলের দুর্দান্ত পাসে অসাধারণ দক্ষতায় ব্রাজিলের জালে বল পাঠান ডি মারিয়া। তাই ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ডি মারিয়া। কোপা আমেরিকায় এটি আর্জেন্টিনার ১৫ তম শিরোপা। শিরোপাসংখ্যায় এখন যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে।
এই জয়ের মধ্যদিয়ে লিওনেল মেসির শিরোপা-খড়ার অবসান হলো। ক্লাব পর্যায়ের সব কিছু জেতা মেসি এবার ট্রফি জিতলেন নিজ দেশ আর্জেন্টিনার হয়েও। ১৪ বছর পর কোনো বড় আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
২০০৭ সালের কোপার সেই ফাইনালে অবশ্য ব্রাজিল জিতেছিল ৩-০ গোলে। এবার প্রতিশোধ নিল মেসিরা। ১৯৯৩ সালে কোপার শিরোপা জেতার ২৮ বছর পর আজ আবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে, ঘরের মাঠে শিরোপাবঞ্চিত হয়ে মাঠেই কেঁদে ফেলেছেন নেইমার জুনিয়ররা।
সবশেষ ১৯৮৬ দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সালের কোপা আমেরিকাও জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। এরপর আর নিজের জীবদ্দশায় আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক শিরোপা দেখতে পারেননি দিয়েগো ম্যারাডোনা।
এরপর ২০০৪, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকা ও ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু ট্রফি নিজেদের করতে পারেননি মেসি। এবার আর ভুল করলেন না সময়ের সেরা ফুটবলার। ব্রাজিল থেকেই ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরলো আলবিসেলেস্তেরা। সেই সঙ্গে কোপায় সবচেয়ে বেশি (১৫টি) শিরোপা জেতার রেকর্ডে উরুগুয়ের সঙ্গী হলো আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনাকে দীর্ঘ ২৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন করার পথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। পুরো আসরে ৪ গোল ও ৫ এসিস্ট করে দলকে পাইয়েছেন শিরোপা। ফাইনাল ম্যাচে গোল-এসিস্ট না পেলেও পুরো ম্যাচেই জয়ের জন্য মরিয়া ছিলেন মেসি।